Categories
Uncategorized

যেভাবে সেমিতে খেলতে পারেন সাকিবরা

পার্থে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারতের ৫ উইকেটের হারে দুই নম্বর গ্রুপে সেমির লড়াই কিছুটা জটিল হয়ে গেছে। এই ম্যাচের ফলাফলে পাকিস্তানের বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে গ্রুপে লড়াই বেশ জমে উঠেছে। এক নেদারল্যান্ডস বাদে বাংলাদেশসহ এই গ্রুপের বাকি দলগুলোর সেমিতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পয়েন্ট টেবিলের বর্তমান অবস্থা এবং সামনের ম্যাচগুলোর সম্ভাব্য ফলাফল বিচার-বিশ্নেষণে এই গ্রুপ থেকে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাবনা বেশি।

দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ বাকি: পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস

এই গ্রুপ থেকে সেমির দৌড়ে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থাকার সঙ্গে তাদের নেট রান রেটও সবচেয়ে ভালো। তাদের যে দুটি ম্যাচ বাকি, তার মধ্যে একটি গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে হারলেও ডাচদের বিপক্ষে জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে চলে যাবে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে যদি নিজেদের শেষ দুটি ম্যাচ জিতে যায় তাহলে দল দুটির পয়েন্ট দাঁড়াবে যথাক্রমে ৮ ও ৭। সে ক্ষেত্রেও শ্রেয়তর নেট রান রেটে প্রোটিয়ারাই যাবে। আর বাংলাদেশ কিংবা জিম্বাবুয়ের যে কেউ যদি ভারতের কাছে হারে তাহলেও দক্ষিণ আফ্রিকা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে।

ভারত ম্যাচ বাকি: বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যাওয়ায় সেমিতে যেতে হলে পরের দুটি ম্যাচ জিততে হবে ভারতকে। একটি ম্যাচ জিতলেও রোহিত-কোহলিরা শেষ চারে যেতে পারেন, তবে তখন অন্যের ওপর নির্ভর করতে হবে। যদি তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে এবং জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে যায়, তাহলে বিপদে পড়তে পারে। তখন দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের ৭ পয়েন্ট হয়ে যাবে। আবার ভারত যদি বাংলাদেশের কাছে হেরে যায় এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতে তখন এই গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। এর মধ্যে বুধবার অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ। ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে ভারতের সেমির সমীকরণ  জটিল হয়ে উঠবে।

জিম্বাবুয়ে ম্যাচ বাকি :নেদারল্যান্ডস ও ভারত সেমির দৌড়ে থাকতে হলে জিম্বাবুয়েকে অবশিষ্ট দুটি ম্যাচেই জিততে হবে। যদি তারা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতে ও ভারতের কাছে হেরে যায়, তখন তাদের পয়েন্ট হবে ৫, যা সেমিতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। এমনকি শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও অন্য ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের।

পাকিস্তান ম্যাচ বাকি :দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারত হারায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের। এখনও কাগজে-কলমে তাদের সেমির সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবে সেটা প্রায় অসম্ভব। পরের দুটি ম্যাচ জিতলে পাকিস্তানের পয়েন্ট হবে ৬। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা দুর্বল ডাচদের হারালেই ৭ পয়েন্ট নিয়ে তাদের টপকে যাবে। ভারত যদি বাংলাদেশের কাছে হারে ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতে এবং পাকিস্তান তাদের অবশিষ্ট দুটি ম্যাচ জিতে নেয়, তখন এশিয়ার এই তিন দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে। তখন নেট রান রেটের ভিত্তিতে পাকিস্তানের শেষ চারের সুযোগ আসতেও পারে।

নেদারল্যান্ডস ম্যাচ :৩, পয়েন্ট :০, নেট রান রেট:-১.৯৪৮, ম্যাচ বাকি :জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা

টানা তিন ম্যাচ হেরে নেদারল্যান্ডস সেমির লড়াই থেকে ছিটকে গেছে। বাকি দুটি ম্যাচ তাদের জন্য শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।

বাংলাদেশ ম্যাচ বাকি ভারত ও পাকিস্তানের

বাংলাদেশের পয়েন্ট ভারতের সমান হলেও নেট রান রেটে তারা বেশ পিছিয়ে। তাই নেট রান রেটের বিষয়টি চলে এলে তারা বিপদে পড়বে। তবে বাংলাদেশের সেমিতে খেলাটা নিজেদের হাতেই আছে। দুই এশিয়ান জায়ান্ট ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে যাবে তারা। এমনকি একটি ম্যাচ জিতলেও সেমির দৌড়ে থাকবেন সাকিবরা। তখন অন্য ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে।

Categories
Featured

বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গতি উগান্ডার চেয়েও কম

বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গতি শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, উগান্ডার মতো দেশগুলোর চেয়েও কম। তবে ইন্টারনেটের দাম ইতালি, ফ্রান্স ও ভারতের চেয়েও বেশি।  

ইন্টারনেটের দাম ও গতি পর্যালোচনাকারী ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ‘কেবল ডট কো ডট ইউকে’র এবং স্পিডটেস্টের পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে।

‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড মোবাইল ডাটা প্রাইসিং ২০২২’ শীর্ষক কেবল ডট কো ডট ইউকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বব্যাপী কম দামে ডেটা প্রাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম।বাংলাদেশে গড়ে প্রতি গিগাবাইট (জিবি) মোবাইল ডেটা কিনতে খরচ হয় ৩২ সেন্ট বা প্রায় ৩৩ টাকা। ’

২৩৩টি দেশ ও অঞ্চলের কয়েক হাজার মোবাইল ডেটার মূল্য ও তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি এই প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও কম দামের মোবাইল ডেটার তথ্য-উপাত্ত দেখানো হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় কম দামে মোবাইল ইন্টারনেট পাওয়ার হিসাবে ভারত পঞ্চম, নেপাল দশম, শ্রীলঙ্কা ১১তম, পাকিস্তান ১৩তম, ভুটান ১৯তম, আফগানিস্তান ৬৪তম ও মালদ্বীপ ১৪৫তম অবস্থানে আছে।

ইন্টারনেটের গতির বিষয়ে কাজ করা জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘স্পিডটেস্ট’র ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত বৈশ্বিক সূচক অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মোবাইল ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৫তম।

এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ ২৮তম, উগান্ডা ৮৯তম, নেপাল ১১৫তম, পাকিস্তান ১১৬তম, শ্রীলঙ্কা ১১৭তম, ভারত ১১৮তম অবস্থানে আছে।

স্পিডটেস্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ায় আফগানিস্তান ছাড়া বাকি দেশগুলোতে বাংলাদেশের চেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে গতিতে শীর্ষে রয়েছে মালদ্বীপ। সেখানে ৬২ দশমিক ৩২ এমবিপিএস ইন্টারনেট সরবারহ করা হয়।

যেখানে বাংলাদেশের গতি ১১ দশমিক ৭১ এমবিপিএস।

দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবায় আফ্রিকার দেশ উগান্ডা, অ্যাঙ্গোলা, নামিবিয়া, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও ইথিওপিয়ার মতো দেশগুলোও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে।

বিশ্বে সবচেয়ে কম মূল্যের (প্রতি জিবি মাত্র ৪ সেন্ট বা ৪ টাকার সামান্য বেশি দামে) মোবাইল ইন্টারনেট সরবরাহ করা হয় ইসরায়েলে। প্রতি জিবি ১২ সেন্টের সামান্য বেশি দাম নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইউরোপের দেশ ইতালি। তাছাড়া, প্রতি জিবি ইন্টারনেটের দাম স্যান মারিনোতে ১৪ সেন্ট, ফিজিতে ১৫ সেন্ট ও ভারতে ১৭ সেন্ট।দামের দিক থেকে এরপরেই রয়েছে কিরগিজস্তান, ফ্রান্স, মালদোভা, উরুগুয়ে ও নেপাল।

২০২২ সালের হিসাবে, গিগাবাইটপ্রতি ৪১.০৬ ডলার ব্যয় করে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মোবাইল ডেটা ব্যবহার করতে হয় সেন্ট হেলেনা দ্বীপবাসীকে। এ ছাড়া, ফকল্যান্ড দ্বীপে প্রতি জিবি মোবাইল ডেটার গড় দাম ৩৮.৪৫ ডলার, সেন্ট্রাল আফ্রিকার দ্বীপ সাও তোম ও প্রিন্সিপিতে ২৯.৪৯ ডলার, পলিনেশীয় দ্বীপ তোকিনাউতে ১৭.৮৮ ডলার। এর পরের অবস্থানে বতসোয়ানা, তুর্কেমেনিস্তান, টোগো, সিসিলিস ও দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে।

Categories
সিলেট

র‍্যাব হবে আতঙ্কের নাম

সরকারের নির্দেশনায় জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অতন্ত্র প্রহরী হয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। তাই জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাছে এক আতঙ্কের নাম হচ্ছে র‌্যাব, যোগ করেন তিনি।

র‍্যাব-৯ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দুপুর ১টায় র‍্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে র‍্যাব ডিজি এ কথা বলেন। 

মতবিনিময়কালে তিনি আরও বলেন- সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন ও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে র‍্যাব-৯।

২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে র‍্যাব-৯ এর যেসকল সদস্য দেশের তরে কাজ করে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কমনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জানিয়ে এম খুরশীদ হোসেন বলেন আইন শৃঙ্খলার রক্ষায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি র‍্যাব-৯ সকল দুর্যোগ মুহুর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিগত বন্যায় অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়াসহ নানা সহায়তা প্রদান করেছে র‍্যাব-৯। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মেডিক্যাল ক্যাম্প গঠন করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, এতিমদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করে তাদের মুখে হাসি ফুটানোসহ নানা সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড র‍্যাব-৯ পরিচালনা করছে। আগামীতেও এসকল কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে র‍্যাব-৯।  

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞায় র‍্যাবে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তার দায়িত্ব সরকারের জানিয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সব অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়েছে। সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সংস্থার কেউ আইনবিরোধী কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, র‍্যাব তার নীতিতে অবিচল আছে। সংস্থায় কেউ যদি অপরাধ করে সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞায় নাম থাকা ৭৬ জনের তালিকা অনুসারে তদন্ত করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।